বাংলায় ‘অবাঙালি বিজেপি নেতৃত্বের দাপট’ নিয়েও ‘অসন্তুষ্ট’ প্রাক্তন বিচারপতি। উত্তর ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের চিন্তাভাবনা মেলে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘হিন্দি বলয় থেকে এখানে নেতা এনে ভোট করানো যাবে না।’’
অভিজিতের কথায় উঠে এসেছে, ‘বাংলার আবেগকে বিজেপির বুঝতে না-পারা’র প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘কেন যে পশ্চিমবঙ্গের মতো একটা শাসনহীন, প্রশাসনহীন রাজ্যে অন্তত ৩৫৫ ধারা জারি করা হবে না, সেটা তো আমার কাছে একটা বিরাট প্রশ্ন।’’ তমলুকের সাংসদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বদল করতে চায় না। অভিজিৎ মনে করেন, রাজ্যে পালাবদল করতে হলে পুলিশকে কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় নিয়ে এসে ভোট করাতে হবে। তা হলেই তৃণমূল ভোট দিতে যাওয়ার সময় কাউকে ‘বাধা’ দিতে পারবে না বা কোনও রকম অশান্তি তৈরি করতে পারবে না। তবে এ সব করলেও যে পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে বিজেপি সাংসদ নিশ্চিত নন। তিনি বলেছেন, ‘‘তার পর যদি তৃণমূল আসে আসবে।’’
বাংলায় ‘অবাঙালি বিজেপি নেতৃত্বের দাপট’ নিয়েও ‘অসন্তুষ্ট’ প্রাক্তন বিচারপতি। উত্তর ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের চিন্তাভাবনা মেলে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘হিন্দি বলয় থেকে এখানে নেতা এনে ভোট করানো যাবে না।’’ কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মন, মেজাজ, তাঁদের অভিমান, এসব দিল্লিওয়ালা নেতারা বোঝেন না।’’
নির্বাচন কমিশনের ‘কাজকর্ম’ নিয়েও ‘সন্দেহ’ প্রকাশ করেছেন অভিজিৎ। তাঁর দাবি, ভোটার তালিকায় ‘গন্ডগোল’ করার জন্য বেশ কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। তাঁদের সাসপেন্ড করা হলেও কারও বিরিদ্ধে এফআইআর করেনি রাজ্য সরকার। তবে তা না-করা হলেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি কমিশন।
.png)
